মেজর জিয়ার শাসনামলে বিদ্রোহ দমনের নামে সেনাসদস্যদের ফাঁসি এবং এরপর আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিচারের আশ্বাস দিলেন তথ্যমন্ত্রী। আজ বুধবার শহীদ মিনারে ‘মায়ের কান্না’ ও ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামে দুটি সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন ও শান্তি সমাবেশে এ আশ্বাস দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনার নির্দেশদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে বিদ্রোহ দমনের নামে সামরিক বাহিনীর পাঁচশ সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনটি। শহীদ মিনারে আয়োজিত এই সমাবেশেও এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামের ব্যানারে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামাতের আগুন বিচারের দাবিও উঠেছে একই মঞ্চে। সমাবেশে যোগ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালের ঘটনার যেমন বিচার হবে, তেমনি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের এবং হুকুমদাতাদেরও বিচার হবে।
এদিকে বিদেশি সংস্থা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে তাদের উচিৎ এই ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারও নিশ্চিত করা। ‘মায়ের কান্না’ ও ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন দুইটির আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ভুক্তভোগী ও প্রাণ হারানোদের স্বজন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
তারা বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার দাবি করেন। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সদস্য এবং ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও দাবি করছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।